[ আমার বন্ধু ও জীবন-নির্দেশক পলাশ সেনের কলকাতা প্রেম আমার মধ্যে সংক্রামিত হয়েছিল। ইতালীর নেপলসে চিরতরে স্বেচ্ছা-নির্বাসনের আগে তার “কলকাতা নোট” তিনি আমাকে দিয়ে যান। সেই নোট আর ভ্রমণের ফল হল ইংরেজীতে লেখা কড়চা – Calcutta Culture Glossary তার ভাবশরীর অনুবাদ। ছেলে-পুলেদের পড়াশোনা মধ্যবয়সী বাঙ্গালী পুরুষ-নারীর কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ, স্থান আর পাত্র / পাত্রী বিশেষে একমাত্র বিষয়। পলাশবন্ধুর সঙ্গে দুটি ছেলের পরিচয় ছিল – দুই ভাই কিন্তু ভিন্ন জীবনাদর্শের লোক। এই ছড়া হাল্কা চালে লেখা কিন্তু বিষয় গুরুতর, অতি গুরুতর – ছেলেমেয়ের পড়াশোনা। ]
ডক-জক দুই ভাই
“কলিকাতা নগরে, সল্টলেক শহরে, দুই ভাই করে বাস।
ডক-জক নামধরী, ফন্দির শিরোমণি, করে শুধু ফিসফাস।
ডক করে গবেষণা, জক খায় চকলেট ;ডক কয় এইবার থালি হল বাবার পকেট।
ডক পড়ে মন দিয়ে, লেখাপড়ায় ভারী মন,
জক বলে পড়াকু হয়ে দেখি নষ্ট করলি জীবন !
ডক বলে এইবেলা পড় কিছু, পরীক্ষা যে এলো কাছে,
জক বলে পরীক্ষার কাগজে জীবনের কি কথা আছে ?
ডক বলে ফেল হবি, এই বেলা পড়ে নে,
জক বলে – মার্কসের চাটনি খাব কি বানিয়ে ?
ডক পড়ে বই থেকে, ডক পড়ে অনলাইন,
জক শুয়ে তাকিয়ায়, ব্যস্ত তার ফোনলাইন।
ডক ঘাঁটে পুস্তক, ডক যায় কোচিং-এ,
জক দেয় আড্ডা -এপে আর জুমে-তে।
টিপস্ নেয় বন্ধুর, ঘুষ দেয় চকলেট,
বলে – কবিরাজি শিখছি, এই খা কাটলেট।
ডক বলে ফেল হলে লজ্জা, লোকে কি বলবে ?
জক বলে দুনিয়া ঠিকঠাকই চলবে।
শোন দাদা, ফেল হলে একটিই কষ্ট,
দুবার স্কুলে টাকা দাও, এই কথা স্পষ্ট। “
ডক ডক্টরের অপভ্রংশ
জক লাইফ জকি’র (Life Jockey) র অপভ্রংশ
পলাশবন্ধু